সাহিত্য কী খুঁজে?
সাহিত্য কী খুঁজে?
ড. পরিতোষ রায়
__________________________________________________________________________
জীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি সত্তা। যেকোনো
বৈচিত্র্যপূর্ণ জিনিসই রহস্যময় হয়।
তাই বৈচিত্রপূর্ণ জীবনও রহস্যময়।
জীবনে কখন, কি হয়? অতি সাবধানী ব্যক্তিও সহজে কিছু বলতে পারে না। কিছু করার আগেই অন্য কিছু ঘটে যায়। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যায়না। শুধু সতর্ক থাকতে পারে মাত্র। অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সময়
অতিবাহিত হয়। অতীতের স্মৃতি বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের চাহিদার কথা ভেবে
প্রাণ ধারণকারী ব্যক্তি এগিয়ে যেতে চায়। কোনো
ব্যাক্তি জীবনের সুন্দর দিনের জন্য পরিকল্পনা করে। কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা বেশিরভাগ সময়
সার্থক হয় না। শুধু সব
ঘটনা গচ্ছিত থেকে যায় স্মৃতির পাতায়।
এই স্মৃতির পাতা ঘেঁটেই তৈরি হয় জীবনের ছবি। জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন “স্মৃতির পটে জীবনের ছবি
কে আঁকিয়া যায় জানিনা। কিন্তু
যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে”।
স্মৃতির পটে তৈরি হওয়া ছবি নানা রং-বেরঙের উপকরণে
সাজিয়ে প্রকাশ করলে প্রকাশিত বস্তুই হয়ে উঠে সাহিত্য বা শিল্প। সাহিত্য শব্দটি ‘সহিত’ শব্দ থেকে এসেছে যার
অর্থ ‘সঙ্গে’। অর্থ অনুসারে বোঝাই যাচ্ছে সাহিত্য শুধু একজনের স্মৃতিপটে তৈরি ছবি
হলে চলবে না। একজনের
স্মৃতিপটে ছবি হওয়ার পাশাপাশি আরেকজনের স্মৃতির পটে ছবি হতে হবে। অর্থাৎ লেখক বা সাহিত্যিকের স্মৃতির পটে তৈরি
হওয়া ঘটনা ধারা অন্যজনের বা পাঠকের মনে তৈরি হওয়া ঘটনা ধারার সঙ্গে একীভূত হতে
হবে। তবে সেই স্মৃতির পট থেকে
বেরিয়ে আসা রং-বেরংয়ের প্রকাশিত রসবস্তুটি সাহিত্যে পরিণত হবে। সাহিত্য হিসেবে সার্থকতাও লাভ করবে। উদাহরণ হিসেবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘তেত্রিশ
বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনি’ কবিতার উল্লেখ করা হল। তাতে দেখা যাবে তেত্রিশ বছর
বয়সী এক যুবকের আশা-নিরাশা এবং ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে এক যুবককে বোষ্টুমী, নাদের আলী, তার
বাবা, এমনকি ভরসা দেওয়া, আশা জাগানো প্রেমিকা বরুনা কথা দিয়ে, কথা না রেখে তাকে
ছেড়ে চলে গেছে। কবির
অনুভূতিতে স্মৃতির পটে তৈরি হওয়া এই ব্যথা-বেদনা পাওয়ার ছবি প্রকাশ করলেন কথা
বস্তুর মাধ্যমে। প্রকাশ
করে বললেন তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা রাখে না অর্থাৎ ওইরকম তেত্রিশ বছর বয়সী সব
যুবকের মনের কথা, বেদনার কথাকে কবিতার আকার দিলেন। যেই পাঠ করুক না কেন, পাঠ শেষে নিজের স্মৃতিপটে ফিরে গিয়ে, একটু
হলেও বেদনা অনুভব করে অথবা অনুতপ্ত হয়।
তাই বলা যায়, পাঠকের মনে উস্কে দেওয়া অনুভূতিটাই হলো সাহিত্য।
সেই সাহিত্য জীবন খুঁজে। জীবনের অনুভুতিটাকে খুঁজে। অনুভুতিপ্রবণ জীবন রহস্যময়। রহস্যময় জীবন প্রতিদিনকার কষ্ট
বেদনা থেকে মুক্তি পেতে চায়, খুঁজে নিতে চায় আনন্দানুভূতিকে। আনন্দানুভূতির মধ্য দিয়ে চরম সুখ লাভ করা যেতে
পারে। সেই চরম আনন্দানুভূতির খোঁজেই
বিশেষ করে মানুষ ছুটে বেড়ায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এই চলমান পৃথিবীতে ছুটে বেড়ানো মানুষের রহস্য খুঁজে পাওয়া যায়
আর মানুষের জীবনকে বোঝা যায় সাহিত্যের মধ্য দিয়ে। কারণ রহস্যময় ছুটে বেড়ানো মানুষই সাহিত্যের মাধ্যমে নিজেকে
খুঁজে নিতে চেয়েছে। তাই
সাহিত্যকে যেভাবেই হোক সংজ্ঞায়িত করা যায়। কিন্তু জীবনকে সেভাবে সংজ্ঞায়িত করা
সম্ভব নয়। লেখক বা
সাহিত্যিকের অনুভূতি কথাবস্তুতে প্রকাশিত হয়ে অন্যের হৃদয়ে স্থান পেলে, সেই কথাবস্তুকে
সাহিত্য বলতে পারি। সেই
সাহিত্য একজন ব্যক্তির মনন নিঃসৃত কথাবস্তু। তাই সাহিত্যকে ওই ব্যক্তির দর্পণ বলা
যেতে পারে। দর্পণে
যেমন নিজের প্রতিবিম্ব দেখা যায়, প্রতিবিম্ব দেখে শরীরের পরিচর্যা করা হয় তেমনি
লেখক এর লেখা সাহিত্যে পাঠক তার প্রতিবিম্ব দেখে বা নিজের জীবনের কাহিনি মিলিয়ে
নিয়ে শরীর-মন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচর্যা করতে পারে। পরোক্ষভাবে বলা যায় সাহিত্য জীবনের সব দিকে
খতিয়ে দেখে সমালোচনার হাত বাড়িয়ে দেয়, সঠিক পথে চলার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। সেখানে জ্ঞান থাকে, প্রজ্ঞা থাকে, নিয়ম অনিয়ম,
নীতি-নৈতিকতা, খারাপ, ভালো, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, করুণা, জগুপ্সা
থাকে। শুধু কোনটি সঠিক কোনটি
বেঠিক তার নির্দেশ থাকে না।
পাঠক তাঁর অবস্থান অনুসারে ঠিক ভুলকে খুঁজে নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যাবে। তবে সাহিত্যে
জীবনের যে দুঃখ কষ্ট বেদনা ভরা কাহিনি থাকে, তা শেষ পর্যন্ত দুঃখ কষ্ট বেদনা হয়ে
থাকে না। তা মধুর
আবেগে পরিণত হয়। এই জন্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি গানে বলেছেন—
“বিরহ
মধুর হল আজি মধুরাতে
গভীর
রাগিণী বেদনাতে”।
তবে মোহিতলাল
মজুমদার ইন্দ্রিয় ও অনুভবের মাধ্যমে যা-কিছু আনন্দ দান করে তাকে সুন্দর বলেছেন। সেই সুন্দরের স্পর্শেই সাহিত্য সৃষ্টি হয়। সেই
সাহিত্য রসবস্তুই জীবনের দুঃখ-কষ্টের দিনে
সুন্দরের মোহময়ী রূপকে খুঁজে দেয়। পাঠককে আনন্দ দেয়। এক রসময়ী প্রশান্তি এনে দেয়। তবে তা বোঝার জন্য একটু সাহিত্য বোদ্ধাও হতে হয়। উদাহরণস্বরূপ
বলা যায়- বনফুলের ‘সুলেখার ক্রন্দন’ গল্পটির কথা। লেখক সুলেখার জীবনে ক্রন্দনের নানা সম্ভাব্য বর্ণনা দিলেন। ষোড়শী নারীর ক্রন্দন পাঠককেও অবাক করে। লেখক সম্ভাব্য হিসেবে
তার অরুণদার সঙ্গে প্রেমের কথা ভেবেছে। প্রেমে ব্যর্থতার কথা
ভেবেছে। পরে লোমশ নিরস বিপিনের সঙ্গে
বিবাহের ফলে কষ্টের কথা ভেবেছে। আর দুমাস আগে তার একটি
সন্তান হয়ে মারা গেছে কিংবা নিরস বিপিন তাকে এক নামজাদা
সিনেমা দেখাতে, নিয়ে না যাওয়ায় কান্না করছে-- এরকম নানা সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে, সুলেখার জীবনের
বাস্তব সত্যের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল সে উক্ত
কোনো কারণেই কান্না করছে না, সে কান্না করছে তার দাঁতের
ব্যথার জন্য। স্বাভাবিকভাবে গল্পটি সুলেখার জীবনের একটি
কাহিনী মাত্র। কিন্তু গভীরতার দিক থেকে
অন্য কিছু ইঙ্গিত দিয়ে যায়—ইঙ্গিত দিয়ে যায় জীবন একমুখী
নয়। জীবন একটা বিস্ময়কর পরিস্থিতি।
জীবন কত বিচিত্র, জীবন কত রহস্যময়।
জীবনের প্রতিটা ধাপে নানা রকমের খাপ সাজানো রয়েছে। সেই খাপে নানা ঘটনার রঙ্গিন চিঠি গুঁজে রাখা থাকে। একটা একটা করে খুলে দেখলে জীবন সম্পর্কে
নানা তথ্য ও সত্য খুঁজে পাওয়া যাবে। সাহিত্য ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা খাম খুলে দিতে
সাহায্য করে। ‘সুলেখার ক্রন্দন’ গল্পেও সুলেখার জীবনের ধাপে ধাপে সাজানো সমস্ত
চিঠিগুলি খুলে দিতে সাহায্য করে। জীবন কি সেটা বোঝাতে সাহায্য করে।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে, সাহিত্য জীবনের রহস্যময়তাকে
খুঁজে বের করতে চায়। সেই রহস্যময়তাকে খুঁজে দিয়ে লেখক যেমন চরম আনন্দানুভূতি ও
সুখ লাভ করে তেমনি একজন পাঠক সেই রহস্যময়তার সঙ্গে একীভূত হয়ে নিজেও চরম
সুখানুভূতি লাভ করতে সক্ষম হয়। এই কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে বিশুদ্ধ আনন্দকে
ব্যক্ত করাই সাহিত্য। কিন্তু বনফুলের ‘বুধনি’ গল্পটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, সেখানে
কোনো আনন্দানুভূতি নেই। উল্টে ভয়-ভীতি ও অনুকম্পার পরিবেশ সৃষ্টি করে। আদিম
ভয়ঙ্কর সংস্কারের মধ্যে দিয়ে বিল্টু বুধনিকে লাভ করে। বুধনির সঙ্গে সে পৈশাচিক
আচরণ করে। প্রকৃতির নিয়মে বুধনির ছেলে হলে সে মাতৃত্বের চরম সুখ লাভ করে অন্যদিকে
প্রতিহিংসায় বিল্টু নিজের ছেলেকে হত্যা করে। এখানে তো আনন্দানুভূতির তিলমাত্র
ছোঁয়া নেই। হ্যাঁ, সত্যিই নেই। আপাতদৃষ্টিতে তাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু এও মেনে
নিতে হবে সাহিত্য জীবন খুঁজে। জীবনের টানে বিল্টু-বুধনির জীবনের রহস্যময়তাকে
খুঁজে দেয়। জীবনের উত্তর না পাওয়া ঘটনাগুলির সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে দেয়।
জীবনে দুঃখ-কষ্ট-বেদনা আছে। সেই দুঃখ-কষ্ট-বেদনাকে
স্বীকার বা তার বিরুদ্ধাচরণ করে, মানুষ যে আনন্দানুভূতি খুঁজে পায়, সাহিত্য সেটাই
খুঁজে বের করতে চায়। এককথায় বাইরের সাধারণ দৃষ্টিতে বা চিন্তাভাবনায় যেটাকে
আমরা দুঃখের বলছি সেটা সাহিত্যে আনন্দানুভূতিতে পরিণত হয়। মধুর অনুভূতিতে পরিণত
হয়। এই কারণে বলা হয় সাহিত্যের আসল বেদনা নয়, সাহিত্যের বেদনাও মধুর হয়ে যায়।
যেমন শিল্পী
জগজিৎ সিং এর একটি গানে পাওয়া যায়- “বেদনা মধুর হয়ে যায়, তুমি যদি দাও” ।
সাহিত্য মানুষের মুখ্য প্রশ্ন ‘কেন’কে খুঁজতে সাহায্য
করে। আমরা যদি বনফুলের ‘নিমগাছ’ গল্পটি পড়ি তাহলে জানব যে, গল্পে একটি নিম গাছের
ঔষধি ও ভেজষগুনের বর্ণনা দেওয়া আছে। এই বর্ণনার পরোক্ষনেই যখন ঘরের লক্ষ্মী বউটির
তুলনা করে, কবির সঙ্গে তার চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তখনই পাঠকের মনে কৌতুহল জাগে। প্রশ্ন উঠে ‘লক্ষ্মী
বউ’ হওয়া সত্ত্বেও সে কেন কবির সঙ্গে চলে যেতে চায়? অন্যদিকে বনফুলের ‘তাজমহল’
গল্পে দেখি বৃদ্ধ শাজাহান রাজা শাজাহানের মত ধনী সম্পদশালী নয়, গরীব নিঃস্ব তা
সত্বেও ক্যাংক্রাম রোগে আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসালয়ে কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে
গাছের তলায় বৃষ্টিতে ভিজেছে। আবার স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজা শাজাহানের মতো তাজমহল
বানাতে না পারলেও ইট দিয়ে তাজমহল বানিয়েছে। গল্পটি পড়তে পড়তে সবার মনেই প্রশ্ন
জাগে বৃদ্ধ শাজাহান এত সব করছে কেন? বৃদ্ধ শাজাহানের মতো আমরাও তো জাগতিক জীবনে
এমন কত কিছুই করে থাকি। যার জবাব গচ্ছিত করে রাখি না। সাহিত্য পড়েই বুঝতে পারি
আমরা কি রকম আচরণ করি, কেন সে রকম আচরণ করে থাকি? তেমনি গল্পটিতে লক্ষ্মী বউ এর
বদ্ধ হয়ে থাকা বা স্বাধীনতা না পাওয়ার দুঃখ কষ্ট বেদনা বা বৃদ্ধ শাজাহানের পত্নী
প্রেম এখনও মানুষের মনে গচ্ছিত থাকে, আর গচ্ছিত ঘটনাবলী কথবস্তুতে প্রকাশ পায় বলে
সাহিত্য হয়ে উঠে। অতএব লেখক অনুভূতির মধ্য দিয়ে জীবনের মানে পাঠকদের খুঁজে দিতে
সাহায্য করে।
সাহিত্য সংবাদ দাতারও কাজ করে। তবে সে সংবাদ বাস্তবে
ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিকল নয়। বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকলেও অতিরঞ্জিত। আবার অতিরঞ্জিত
হলেও চরম সত্য। সাহিত্যের সাংবাদিকরা শুধু বাইরের তথ্য ও সত্যকে কেন্দ্র করে
জীবনের চরম সত্যকে প্রকাশ করে। চরম সত্যের সংবাদকে হৃদয়গ্রাহী সমস্ত পাঠকের কাছে
পৌঁছে দেয়। তাই বাস্তব সত্য থেকে সাহিত্যের সত্যটুকু একটু আলাদা। সেটি জীবনের সত্য,
জীবন যাপনে উঠে আসা রহস্যঘন মায়াময় জগতের সত্য। যেমন শঙ্খ ঘোষের কবিতা ‘খরা’য়
জলের অভাবে চারিদিকের গাছপালা শুকিয়ে গেছে। চারিদিকে বালি পড়ে আছে। মানুষগুলো জল
আনতে গিয়ে জল না পেয়ে, বালি আনা শুরু করেছে। কবি বলেছেন এভাবে একদিন বিশ্বসংসার
খালি হয়ে যাবে। হ্যাঁ, এটা তো চরম সত্য জল নাই, সেখানে বালি আছে। কিন্তু বালি
তুলে নিলে সেটা তো খালি হবেই। এটাই স্বাভাবিক। এই তথ্য কবির কাছে তখনই সত্যে পরিণত
হয় যখন তার মনে হলো এভাবে বিশ্বসংসার খালি। কবি তথ্য দিয়ে চরম সত্যটাকে বলতে
চাইলেন। বলতে চাইলেন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেকহীনতার কথা। যার ক্রম ক্ষয়িষ্ণু
পরিস্থিতিতে একদিন মূল্যবোধেপূর্ণ ও মানবিকতায় শ্রেষ্ঠ এই পৃথিবী মূল্যবোধ আর
মানবিকতায় খালি হয়ে যাবে, শূন্য আকার ধারণ করবে। এটাই কবির বিশ্বাস।
সুতরাং সাহিত্যের দুটি দিক থাকে একটা বাইরের দিক,
অন্যটি ভিতরের দিক। বাইরের দিকে যে আনন্দটা, সুখটা থাকে, তাকে কেন্দ্র করে ভেতরে
ঢুকতে হয়। সেই ভেতরের গভীর অর্থটাই প্রকৃত জীবনের খোঁজ দেয়। বাইরের ঘটনার মধ্য
দিয়ে তথ্য তুলে এনে লেখক বা সাহিত্যিকরা এক মধুর সত্যের রূপ দেন। সেই সত্যই
রসাশ্রিত হয়ে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নেয়।
সহায়ক গ্রন্থঃ
১. জীবনস্মৃতিঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২. তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনিঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৩. নীমগাছঃ
বনফুল
৪. খরাঃ শঙ্খ
ঘোষ
৫. শিল্পী জগজিৎ
সিং এর গান।
No comments