বঙ্গভাষা (মুল কবিতার ব্যাখ্যা)
Ø ফরাসি দেশের ভার্সাই নগরে ছিলেন।
Ø বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে একটি চিঠিতে মাতৃভাষা নামে সনেট লেখেন।
Øপরে মাতৃভাষা সনেটটি বঙ্গভাষা নামে চতুর্দশপদী কবিতাবলী গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।
Ø Ø বঙ্গভাষা কবিতাটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম সনেট।
Ø Øএই সনেটে বাংলা ভাষার প্রতি কবির অনুরাগ প্রকাশিত হয়।
Ø Øকবির অনুরাগকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে এই কবিতাটি পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা
করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে
আচরি।
কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।
অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়,
মনঃ
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;
কেলিনু শৈবালে; ভুলি কমল-কানন!
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে
"ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,
এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!"
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
সরল অর্থঃ
কবি অবোধের মতো বাংলার বিবিধ
রত্নরাজিকে অবহেলা করেছেন।
পরধনের লোভে মত্ত হয়ে পরদেশে
ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করেছেন।
এবং সুখ পরিহার করে বহুদিন কাটিয়ে
দিয়েছেন।
অনিদ্রায় অনাহারে শরীর মন সমর্পণ করে
ব্যর্থ তপস্যাকে বরণ করে নিয়েছেন।
পদ্ম বনকে ভুলে শৈবালে সাঁতার দিয়েছেন।
স্বপ্নে কুললক্ষ্মী কবিকে ‘ওরে বাছা’
সম্বোধন করে রত্নে পরিপূর্ণ মাতৃভাণ্ডারে ফিরে যেতে বললেন।
কুললক্ষ্মীর আদেশ পালন করে, মাতৃভাষাকে
পূর্ণ মণিজালে ফিরে পেলেন।
No comments