বাক্য ও বাক্যের শ্রেণিবিভাগ
ভাষা ভাব প্রকাশের মাধ্যম।
মনে ভাবের উদয় হলে শব্দের পর
শব্দ সাজিয়ে বাগযন্ত্রের সাহয্যে
প্রকাশ করি। বাক্যে ব্যবহৃত ওই
শব্দগুলোকে পদ বলে।
অতএব পদ ও পদের সমষ্টিই
হল বাক্য। তবে সেই পদগুলিকে
উপযুক্ত ও সুবিন্যাস্ত হতে হবে।
এলোমেলো বা উপযুক্ত না হলে
যথার্থ বাক্য গঠিত হবে না।
মনের ভাব যথার্থরূপে প্রকাশ পাবে না।
তাই সুবিন্যাস্ত বাক্য যথার্থরূপে ভাবকে বহন করে।
এর থেকে বোঝা যায়,
ভাষার বৃহত্তম একক হল বাক্য। বাক্যের
মাধ্যমে ভাষার প্রকাশ ঘটে। মনের
ভাব সম্পূর্ণ হয়। একটা উদাহরণের
সাহায্য নেওয়া যাক। যেমন – “আজ
তোমাদের বাংলা ব্যাকরন পড়াবো”।
এর উত্তরে কেউ বলবে – “পড়ান”
বা কেউ বলবে “পড়াবেন
না”।
সম্পূর্ণ ক্লাস পেতে ক্লিক করুন - https://youtu.be/tYTNnC2-jZo
তাহলে বোঝা যাচ্ছে – “আজ
তোমাদের বাংলা ব্যাকরন পড়াবো”
বাক্যের মাধ্যমে বক্তা
মনের ভাব প্রকাশ করেছে। শ্রোতা তা
বুঝতে পেরেছে আর এর উত্তরে “পড়ান”
বা “পড়াবেন না”
বলেছ। তাতে বক্তা
শ্রোতার অভিপ্রায়ও
বুঝতে পেরেছে। অতএব বক্তা এবং শ্রোতার অভিপ্রায়গুলি হল বাক্য।
বাক্যের
পদগুলি সুসজ্জিত ভাবে পরপর ব্যাবহৃত হয়েছে। কারন এলোমেলো
পদক্রম যথার্থ ভাব প্রকাশে
সক্ষম নয়।
যেমন ‘‘আজ বাংলা
তোমাদের পড়াবো ব্যাকরন”।
বাক্যের পদক্রম সুবিন্যস্ত নয়। তাই
যথার্থ ভাব প্রকাশ পায়
না। শ্রোতা বক্তার ভাব বুঝতে পারে
না। ফলে শ্রোতার সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব
হবে না।
এই জন্য অর্থপূর্ণ
কতগুলো
পদ সুবিন্যস্ত হয়ে বক্তার মনের
ভাব
সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করলে
তাকে বাক্য বলে।
ভাষাতাত্বিকের
কয়েকটি সংজ্ঞা দেওয়া হলঃ
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে,
যে পদ বা শব্দ-সমষ্টির দ্বারা কোনও বিষয়ে বক্তার
ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকটিত হয়, সেই পদ বা
শব্দ-সমষ্টিকে বাক্য বা Sentence বলে।
জ্যোতিভূষণ
চাকী বলেন, যথাযথ বিন্যস্ত শব্দসমষ্টি যদি একটি সম্পূর্ণ
মনোভাব প্রকাশ করে তাকে বাক্য বলে।
অনুশীলনীঃ
১.
ভাষা
ভাব প্রকাশের
ক) চিহ্ন খ)
প্রতীক গ) পদ্ধতি ঘ) মাধ্যম
২.
ভাষার মূল উপকরন হল –
ক) ধ্বনি খ)
বর্ণ গ)
পদ ঘ)
বাক্য
৩. বাক্য গঠিত হয় –
ক) পদ সমষ্টি দিয়ে খ) শব্দ সমষ্টি দিয়ে গ) বর্ণ সমষ্টি দিয়ে ঘ) অনুসর্গ দিয়ে
৪.
অর্থপূর্ণ
কতগুলো
পদ সুবিন্যস্ত হয়ে বক্তার মনোভাব
সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ কর –
ক) সমাস খ)
উক্তি গ)
কারক ঘ)
বাক্য
৫. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
ক) শব্দ খ. বর্ণ গ. ধ্বনি ঘ. চিহ্ন
৬.
বাক্য কী দিয়ে গঠিত হয় –
ক) কর্তা ও কর্ম খ) কর্তা ও ক্রিয়া গ) কর্তা, কর্ম ও ক্রিয়া ঘ)
কোনোটিই নয়।
বাক্য
গঠনের শর্ত/গুণ/সূত্রঃ
উপরের
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জানলাম,
এলোমেলো পদের সমষ্টি
বাক্য হতে পারেনা। বাক্য হতে গেলে পদক্রমকে
সুবিন্যস্ত হতে হবে।
একটি সার্থক, শুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ বাক্য
তিনটি শর্ত বা বা সূত্র পূরণ করে।
সে শর্তগুলি হল – ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
এবং গ) যোগ্যতা।
এগুলি নিচে আলোচনা করা হল -
ক)
আকাঙ্ক্ষা
‘আমি বাংলা ব্যাকরণ
…. এতে পদ সমষ্টি আছে কিন্তু সম্পূর্ণ ভাব নেই। এতে আমি বাংলা ব্যাকরণ পড়াবো,
না পড়াবো না। না,
বাংলা ব্যাকরন ভয় পাই।
মানে, কোন ভাবটা
সঠিক। কোনটা বলতে চেয়েছি শ্রোতা বুঝতে পারে না। অর্থাৎ
সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পায় না।
তাতে শ্রোতার মনে একটা শোনার
আকাঙ্ক্ষা থেকে যায়।
সুতরাং এই বাক্যটি সম্পূর্ণ নয়।
তবে যদি বলা হত, ‘আমি
বাংলা ব্যাকরণ পড়াবো’।
তখন শ্রোতা শোনার পর বক্তার ভাব বুঝতে পারত। তাতে
শ্রোতার আর কোনো শোনার আকাঙ্ক্ষা থাকে না।
তখন বাক্যটি আকাঙ্ক্ষা গুণসম্পন্ন হয় এবং একটি সার্থক বাক্য হওয়ার গুণ পূরণ করে।
তাই শ্রোতার সম্পূর্ণ বাক্য শোনার আগ্রহই
হলো আকাঙ্ক্ষা।
খ)
আসত্তি
ক) “আমি বাংলা ব্যাকরণ
পড়াবো”।
খ) “পড়াবো ব্যাকরণ
আমি বাংলা”।
উপরের দুইটিই
বাক্য। দুটি বাক্যেই
পদসমষ্টি আছে। তবে প্রথম বাক্যে ভাব
সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে। বক্তার
মনের ভাব প্রকাশের এবং শ্রোতার ভাব গ্রহণের
আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণরূপে মিটেছে।
কারণ বাক্যের অন্তর্গত পদ অর্থগত ও
ব্যাকরণগত দিক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে
কাছাকাছি
বসেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বাক্যেও
পদ সমষ্টি আছে। কিন্তু সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ
পায়নি। কারণ বাক্যের অন্তর্গত
পদগুলি অর্থগত ও ব্যকরণগত
দিক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে
কাছাকাছি বসে নি। তাতে বক্তার মনের ভাব
প্রকাশের এবং শ্রোতার ভাব গ্রহণের
আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণরূপে মিটেনি। সুতরাং
এটি বাক্য নয়। সম্পূর্ণ
ভাব প্রকাশে সক্ষম নয়।
সুতরাং আসত্তি
হল নৈকট্য বা
কাছাকাছি থাকার ভাব।
বাক্যের অন্তর্গত পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত পদগুলি
অর্থগত ও ব্যকরণগত
দিক দিয়ে একে অন্যের কাছাকাছি থাকাকে আসত্তি
বলে।
গ)
যোগ্যতা
ক) ‘আমি ইতিহাস ব্যাকরণ
পড়াবো।
খ) আমি বই খাব’।
গ) ‘আমি দিনের বেলা চাঁদ
দেখি’।
এই ধরনের বাক্যগুলো শুনলে শ্রোতা
হাসবে, না কাঁদবে!
সে বুঝে উঠতে পারবে না।
কারণ এই বাক্যগুলি অপ্রাসঙ্গিক। বাক্যগুলি সম্পূর্ণ
ভাব প্রকাশে ব্যর্থ। এগুলি আদৌ
সার্থক বাক্য নয়। অথচ বাক্যেগুলি
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তিগুণ
পূরণ করেছে। কিন্তু যোগ্যতা পূরণ করতে
পারেনি।
তাহলে যোগ্যতা কী?
যোগ্যতা হলো - বাক্যের অন্তর্গত
পদগুলির অর্থগত এবং ভাবগত মিল বা
সংগতি।
প্রথম বাক্যে পদক্রম অনুসারে ইতিহাস ও ব্যাকরন
সঠিক স্থানে আছে। কিন্তু ভাবগত সঙ্গতি
রক্ষা হয়নি। কারণ বাস্তবের ইতিহাসে
ব্যাকরণের অস্তিত্ব নেই।
তেমনি দ্বিতীয় বাক্যে বই খাওয়া
যায় না কিংবা দিনের বেলায় চাঁদ দেখা যায় না।
অতএব বাক্য তিনটি আকাঙ্ক্ষা,
আসত্তি গুণ বা শর্ত পূরণ করতে
পারলেও যোগ্যতার অভাবে
পূর্ণাঙ্গ বাক্য হতে পারেনি।
অতএব,
একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য হতে গেলে যোগ্যতা,
আসক্তি এবং আকাঙ্ক্ষা এই তিনটি
গুণ পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে।
তবেই একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য হবে নচেৎ বাক্যে সম্পূর্ণ ভাব
প্রকাশ পাবে না।
অনুশীলনীঃ
১.
আকাঙ্ক্ষা,
আসত্তি
এবং যোগ্যতা
– বাক্যের কী?
ক) অংশ খ)
ধরণ গ) গুণ ঘ) প্রকারভেদ
২.
বাক্যের সুশৃঙ্খল পদ বিন্যাসকে কী বলে?
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) সব কটি।
৩.
সম্পূর্ণ বাক্য শোনার ইচ্ছাকে কী বলে?
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) সব কটি।
৪.
যেতে কাল মা থেকে বলছে। - বাক্যটিতে কীসের অভাব ঘটেছে।
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা ঘ) সব কটি।
৫.
বাক্য অন্তর্গত পদ সমষ্টির অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধন ঘটায়
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) সব কটি।
৬.
আমার ছবি আয়নায় । - বাক্যে কীসের অভাব ঘটেছে?
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি গ) যোগ্যতা ঘ) সব কটি।
৭.
দরজা বন্ধ করে ছাদ দিয়ে প্রবেশ করলাম। - বাক্যে কীসের অভাব ঘটেছে?
ক) আকাঙ্ক্ষা খ) আসত্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) সব কটি।
৮.
কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
ক) তাদের পরামর্শ গোপন ছিল।
খ) তাদের পরামর্শ গোপনীয় আছে।
গ) দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
ঘ) উৎপন্ন বৃদ্ধি সরকারের মূল লক্ষ।
৯.
কোনটি ভুল বাক্য?
ক) যদু হীন চরিত্র।
খ) যদু মরনশীল।
গ) যদু গমন করতে পারে।
ঘ) সব কটি ভুল।
বাক্যের
বিভিন্ন
অংশ
“আমি
বাংলা ব্যাকরণ পড়াব’’।
এই বাক্যে ‘আমি’
কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ‘আমি’
সম্বন্ধে কিছু বলা হয়েছে।
অতএব এটি উদ্দেশ্য। অর্থাৎ
যাকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে সেটিই
উদ্দেশ্য। আর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা
বলা হয়েছে, তাই
বিধেয়। সেদিক থেকে এই
বাক্যে দুটি অংশ একটি উদ্দেশ্য অপরটি
বিধেয়। অতএব বাক্যের দুটি অংশ। একটি উদ্দেশ্য
অপরটি বিধেয়।
নিচে আলোচনা করা হল -
ক)
উদ্দেশ্য
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি
কাব্য লিখেছেন’।
বাক্যটিতে ‘রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’কে
উদ্দেশ করা হয়েছে। অতএব ‘রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর’ হল উদ্দেশ্য।
অতএব, বাক্যের অন্তর্গত যে
অংশ সম্বন্ধে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে।
উপরিউক্ত বাক্যটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অংশটি হল
উদ্দেশ্য।
উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
Ø বাক্যের
কর্তৃকারক এর মূল উদ্দেশ্য।
Ø কর্তৃপদটি
যখন থাকে তখন ক্রিয়াটিকে ‘কে’
বা ‘কী’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে
উত্তরটি পাওয়া যায় তাই হলো উদ্দেশ্য।
Ø উদ্দেশ্যের
পরিচায়ক পদগুলি উদ্দেশ্য সম্প্রসারক হয়।
Ø উদ্দেশ্যের
সম্প্রসারক সাধারণত উদ্দেশ্যের আগে বসে।
Ø বিশেষ্য
বা বিশেষ্য স্থানীয় অন্যান্য পদ সংযোগে গঠিত বাক্যাংশও
বাক্যের উদ্দেশ্য হতে পারে।
Ø মূল
উদ্দেশ্যের পূর্বে
তার পরিচায়ক বিশেষণ পদ উদ্দেশ্যকে সম্প্রসারিত করা হয়।
খ)
বিধেয়
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি
কাব্য লিখেছেন’।
এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর’ সম্পর্কে বলা হয়েছে বলে
এটি উদ্দেশ্য। কিন্তু ‘রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর’ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা
হয়েছে ‘গীতাঞ্জলি কাব্য লিখেছেন’।
অতএব গীতাঞ্জলি কাব্য লিখেছেন’
উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা এই অংশটি বিধেয়
হয়েছে।
সুতরাং বাক্যের অন্তর্গত যে অংশ উদ্দেশ্য
সম্বন্ধে বলা হয় তাকেই বিধেয় বলে।
বিধেয়
সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
Ø মূল
উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যের সম্প্রসারক বাদে অন্য অংশটি হলো বিধেয়।
Ø বিধেয়
অংশের মূল হল সমাপিকা ক্রিয়া।
Ø মূল
বিধেয়ের
পরিচায়ক
পদগুলি বিধেয় সম্প্রসারক।
Ø বিধেয়ের
সম্প্রসারক
ক্রিয়া বিশেষণ বা কর্ম করণ
সম্প্রদান উপাদান বা অধিকরণ কারক হয়।
Ø মূল
বিধেয়টির পূর্বে কীভাবে,
কেমন করে, কতক্ষণ ধরে ইত্যাদি বোঝায়
এমন ক্রিয়া বিশেষণ কর্ম করণ
সম্প্রদান উপাদান বা অধিকরণ বাচক পদ বসিয়ে
বিধেয়টিকে সম্প্রসারিত করা হয়।
Ø অনেক
সময় একাধিক ক্রিয়াও বিধেয় হতে পারে।যেমন – ও যেতে পারবে না। একানে যেতে পারবে না’ একাধিক
ক্রিয়াও হয়েও বিধেয়।
উদ্দেশ্য
সম্প্রসারণ ও বিধেয় সম্প্রসারণ
উদ্দেশ্য
সম্প্রসারণের উদাহরণ
ক) অনুকূলচন্দ্র আসিলেন।
খ) ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
আসিলেন।
গ) সর্বজ্ঞানী ঠাকুর
অনুকূলচন্দ্র আসিলেন।
ঘ) পুরুষোত্তম
সর্বজ্ঞানী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আসিলেন।
ঙ) যুগ
পুরুষোত্তম সর্বজ্ঞানী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আসিলেন।
বিধেয়
সম্প্রসারণের
উদাহরণ
ক) অনুকূলচন্দ্র আসিলেন।
খ) অনুকূলচন্দ্র রাস
মেলার মাঠে আসিলেন।
গ) অনুকূলচন্দ্র দেওঘর
থেকে রাস মেলার মাঠে আসিলেন।
ঘ) অনুকূলচন্দ্র
সমাজসেবার উদ্দেশ্যে দেওঘর থেকে রাস মেলার মাঠে আসিলেন।
ঙ) অনুকূলচন্দ্র
দুর্গতদের জন্য সমাজসেবার উদ্দেশ্য দেওঘর থেকে রাস মেলার মাঠে আসিলেন।
অনুশীলনী
১.
বাক্যে যার সম্পর্কে বলা হয় –
ক) বিধেয় খ)
উদ্দেশ্য গ) উভয়েই ঘ) কোনোটিই নয়।
২.
বাক্যে উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় –
ক) বিধেয় খ)
উদ্দেশ্য গ) উভয়েই ঘ) কোনোটিই নয়।
৩.
মৌ বই পড়তে টেবিলে বসল। - বিধেয় কোনটি?
ক) মৌ খ)
বই পড়তে গ) পড়তে টেবিলে বসল ঘ) বই পড়তে টেবিলে বসল।
৪.
কমল বসনা দেবী স্বরসতী। - উদ্দেশ্য কোনটি?
ক) কমল বসনা খ)
দেবী গ) দেবী সরস্বতী ঘ) কমল
৫.
উদ্দেশ্যের
সম্প্রসারক সাধারণত উদ্দেশ্যের _________ বসে।
ক) পরে খ)
মাঝে গ) আগে ঘ) যেখানে সেখানে
৬.
মূল বিধেয়ের
পরিচায়ক পদগুলি
–
ক) বিস্তারক খ)
উদ্দেশ্যের সহায়ক গ) বিধেয়ের সহায়ক ঘ) বিধেয়
সম্প্রসারক।
৭. বিধেয় অংশের মূল হল
–
ক) সমাপিকা ক্রিয়া খ) অসমাপিকা
ক্রিয়া গ)
উভয়েই ঘ) কোনোটিই নয়।
৮.
হাত দিয়ে সাপটিকে মারল। বাক্যে –
ক) বিধেয়
সম্প্রসারক খ)
উদ্দেশ্য সম্প্রসারক গ) উদ্দেশ্যের সহায়ক ঘ) বিধেয়ের সহায়ক
*************************************
No comments