স্বাদেশিকতা (প্রথম পর্ব):: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
উত্তরঃ প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল লেখ।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালে, মারা যান ১৯৪১ সালে।
প্রশ্নঃ হিন্দু ও মুসলমানদের সম্প্রীতির জন্য রবীন্দ্রনাথ
কি উৎসব পালন করেছিলেন?
উত্তরঃ হিন্দু ও মুসলমানদের সম্প্রীতির জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘রাখি বন্ধন’ উৎসব
চালু করেছিলেন।
প্রশ্নঃ স্বাদেশিকতা পাঠটি কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে?
উত্তরঃ স্বাদেশিকতা পাঠটি ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্নঃ সঞ্জীবনী সভাটিকে সাংকেতিক ভাষায় কি বলা হত?
উত্তরঃ সঞ্জীবনী সভাকে সাংকেতিক ভাষায় বলা হত ‘হামচূপামূহাফ’।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের পরিবারের সকলের মধ্যে স্বদেশ প্রেম কার অনুপ্রেরণায়
সঞ্চারিত হয়েছিল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথদের পরিবারের সকলের মধ্যে স্বদেশ প্রেম রবীন্দ্রনাথের পিতা
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় সঞ্চারিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের পিতাকে কে ইংরেজিতে চিঠি লিখেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের পিতৃদেবকে কোন একজন নতুন আত্মীয় ইংরেজিতে পত্র
লিখেছিলেন।
প্রশ্নঃ হিন্দু মেলার অন্যতম কর্মকর্তা কে ছিলেন?
উত্তরঃ হিন্দু মেলার অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন নবগোপাল মিত্র।
প্রশ্নঃ ‘মিলে সবে ভারত সন্তান’ সংগীতি কে রচনা করেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘মিলে সবে ভারত
সন্তান’ গানটি রচনা করেছিলেন।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভার সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভার সভাপতি ছিলেন বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসু।
প্রশ্নঃ কার উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের স্বাদেশিক সভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক
সভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ স্বাদেশিক সভার সদস্যরা তাদের আয়ের কত অংশ দান করতেন?
উত্তরঃ স্বাদেশিক সভার সদস্যরা তাদের আয়ের দশমাংশ সভায় দান করতেন।
প্রশ্নঃ ‘আমাদের কলে এই গামছার টুকরা তৈরি হয়েছে’- উক্তিটি কার?
উত্তরঃ ‘আমাদের কলে এই গামছার টুকরা তৈরি হয়েছে’- উক্তিটি ব্রজনাথ দে মহাশয়ের।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ কলিকাতার এক গলির মধ্যে পোড়ো বাড়িতে রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভা
আবস্থিত।
প্রশ্নঃ ‘তখনই তাঁহার চুল দাড়ি প্রায় সম্পূর্ণ পাকিয়াছে’- এখানে কার কথা বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসুর কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘স্বাদেশিকতা’ পাঠটিতে উল্লিখিত বউ ঠাকুরানীর কে?
উত্তরঃ ‘স্বাদেশিকতা’ পাঠটিতে উল্লিখিত বউ ঠাকুরানী হলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবী।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের ছেলেবেলায় শিক্ষিত লোকেরা কি করত?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথদের ছেলেবেলায় শিক্ষিত লোকেরা দেশের ভাষা এবং দেশের ভাব
দু'টোকেই দূরে ঠেকিয়ে রাখতো
২। শূন্যস্থান
পূরণ করো-
প্রশ্নঃ
আমাদের বাড়িতে দাদারা চিরকাল ________ চর্চা করিয়া আসিয়াছিলেন।
উত্তরঃ
মাতৃভাষার
প্রশ্নঃ
স্বদেশে _______ প্রভৃতির কারখানা স্থাপন করা আমাদের সভার উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি
ছিল।
উত্তরঃ
দিয়াশলাই
প্রশ্নঃ
অবশেষে একদিন দেখি _______ মাথায় একখানা গামছা বাঁধিয়া জোড়াসাঁকোর বাড়িতে আসিয়া
উপস্থিত।
উত্তরঃ
ব্রজবাবু
প্রশ্নঃ
_______ তিনি প্রিয় ছাত্র।
উত্তরঃ
রিচার্ডসনের
প্রশ্নঃ
আমাদের দেশে উপযুক্ত হাতে _______ মধ্য দিয়া সস্তায় প্রচুর পরিমাণে তেজ প্রকাশ
পায় কিন্তু সে তেজে যাহা জ্বলে তাহা দেশলাই নহে।
উত্তরঃ
খেংরাকাঠির
প্রশ্নঃ
তাঁহার _____ ধারে একটি বাগান ছিল।
উত্তরঃ
গঙ্গার
প্রশ্ন
তাঁহাদের মধ্যে _________ প্রভৃতি সকল শ্রেণীর লোক ছিল।
উত্তরঃ
ছুতার কামার
৩। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরঃ প্রশ্নের মান ২/৩
প্রশ্নঃ শ্রীনিকেতনে কি ধরনের শিক্ষা দেওয়া হতো?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রাম বাংলার উন্নতির জন্য শ্রীনিকেতন গড়ে তুলেন। এখানে বৃত্তিমুখী শিক্ষা প্রদান করা হতো অর্থাৎ হাতে কলমে কাজ শিখিয়ে
শিক্ষার্থীদের জীবিকা অর্জনের উপায় নির্ধারণ করে দেওয়া হতো।
প্রশ্নঃ কে কেন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ
ভারতীয় আদর্শে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্নঃ ব্রজবাবু কে? তিনি কেন মাথায় গামছা বেঁধে এসেছিলেন?
উত্তরঃ
ব্রজবাবু হলেন স্বাদেশিকতা সভার একজন সদস্য। গামছাটি স্বাদেশিক সভার সাহায্যে
দেশীয় কারখানায় দেশীয় কাপড়ের কলে
প্রস্তুত হয়েছিল বলে আনন্দে ব্রজবাবু মাথায় গামছা বেঁধে এসেছিলেন।
প্রশ্নঃ কার উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের স্বাদেশিকতার সভা গঠিত হয়েছিল? এই সভার
সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে স্বাদেশিকতার সভা গঠিত হয়েছিল। এই সভার সভাপতি ছিলেন রাজনারায়ণ বসু।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভায় কোন কোন জিনিস
উৎপাদিত হয়েছিল?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভায় অনেক পরীক্ষার পরীক্ষা করার পরে কয়েক বাক্স
দিয়াশলাই তৈরি হয়েছিল এবং কোন অল্পবয়স্ক ছাত্র কাপড়ের কল তৈরি করে অনেক
চেষ্টায় একটি গামছার টুকরা তৈরি করেছিল।
প্রশ্নঃ স্বাদেশিকতা সভার সদস্যরা তাদের আয়ের দশমাংশ এই
সভায় দান করতেন কেন?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘স্বাদেশিকতা’ গদ্যাংশে স্বাদেশিক সভার উল্লেখ আছে। স্বদেশীও দ্রব্য ও কারখানা স্থাপনের জন্য স্বাদেশিক সভার সদস্যরা নিজেদের আয়ের
দশমাংশ এই সভায় দান করতেন।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভা কীভাবে ভেঙ্গে
গিয়েছিল?
উত্তরঃ
স্বদেশের উন্নতির জন্য স্বাদেশিক সভা প্রতিষ্ঠিত হলেও কিছু সুবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ
রবীন্দ্রনাথ সহ স্বাদেশিক সভার সদস্যদের জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়ালে অর্থাৎ বাস্তব
জ্ঞান প্রদান করলে তাদের মনে জেগে ওঠা দেশ ভক্তির প্রবল উন্মাদনা অন্তর্হিত হয়
ফলে তাদের স্বাদেশিক সভাটি ভেঙ্গে যায়।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভার অধিবেশন এর
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্বে কলকাতার এক গলির
মধ্যে পোড়ো বাড়িতে রবীন্দ্রনাথদের স্বাদেশিক সভার অধিবেশন বসত। সেই সভার সমস্ত
অনুষ্ঠান রহস্যে আবৃত ছিল। সমস্ত রকম গোপনীয়তা
বজায় রেখে রুদ্ধদ্বার ঘরে, অন্ধকার পরিবেশে সভার অধিবেশন হত। সকলেই ছিল ঋক মন্ত্রে
দীক্ষিত হত। রবীন্দ্রনাথের মত অল্প বয়সী বালকও বীর
মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে দেশের মুক্তির জন্য তারা সভা পরিচালনা করতো।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ হিন্দু মেলায় গাছের তলায় দাঁড়িয়ে
কি পড়েছিলেন? শ্রোতাদের মধ্যে কোন বিখ্যাত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন?
উত্তরঃ
লর্ড লিটনের শাসনকালে রবীন্দ্রনাথ ‘হিন্দু মেলার উপহার’ কবিতাটি রচনা করেছিলেন আর
হিন্দু মেলায় গাছের তলায় দাঁড়িয়ে তিনি তা পড়েছিলেন। ওই সময় শ্রোতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত কবি নবীনচন্দ্র সেন।
প্রশ্নঃ ‘আমার মত অর্বাচীনও এই সভার সভ্য ছিল’- এখানে কার
কথা বলা হয়েছে? ‘অর্বাচীন’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘আমার’ বলতে লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে। ‘অর্বাচীন’ শব্দের অর্থ হলো নবীন বা অল্প বয়স্ক। তখন রবীন্দ্রনাথ বয়সে নবীন বলে এই মন্তব্যটি করেছেন।
প্রশ্নঃ এদিকে তিনি মাটির মানুষ কিন্তু তেজে একেবারে
পরিপূর্ণ ছিলেন’- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? ‘মাটির মানুষ’ এর অর্থ কি?
উত্তরঃ
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বাদেশিকতা’ গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে শ্রদ্ধেয় রাজনারায়ণ বসুর কথা বলা হয়েছে। ‘মাটির মানুষ’ এর অর্থ হল অত্যন্ত সহিষ্ণু ও শান্ত প্রকৃতির
মানুষ। এখানে রাজনারায়ণ বসুর সহজ-সরল, শান্ত ও
নরম মনের অবস্থাকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দিতে পারে এমন বীরপুরুষ
অনেক থাকিতে পারে কিন্তু দেশের মঙ্গলের জন্য সর্বদা সর্বজনীন পোশাক পরিয়া গাড়ি
করিয়া কলিকাতার রাস্তা দিয়া যাইতে পারে এমন লোক নিশ্চয়ই বিরল’- রবীন্দ্রনাথের
এই বক্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জ্যোতিদাদা অর্থাৎ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গে
এই মন্তব্যটি করেছেন। জ্যোতিদাদার স্বদেশ
প্রেম অতুলনীয়। ধুতি কর্ম ক্ষেত্রে উপযোগী নয়, আবার
পায়জামাটা বিজাতীয়। এইজন্য পায়জামার উপর এক খন্ড কাপড় পাট
করে একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়ে দিলেন। শোলার টুপি পাগড়ীর সঙ্গে মিলিয়ে একটা শিরোভূষণ তৈরি করলেন। এই হল তাঁর সর্বজনীন পোশাক। কিন্তু সর্বজনীন পোশাক হিসাবে যা তৈরি হয়েছিল তা
অত্যন্ত হাস্যকর। অতি উৎসাহী দেশভক্তও সেই পোশাক
পরার কথা ভাবতে পারেনি। তবে সমাজের প্রচলিত
প্রথাকে ভেঙ্গে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধাচরণ করে লেখকের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
তৎকালীন প্রচলিত পোশাক পরিকল্পনা কে ভেঙ্গে নিজের শ্রেষ্ঠ পোশাক পরে প্রকাশ্যে
সকলের সামনে গাড়িতে গিয়ে উঠতেন। সেই প্রসঙ্গেই লেখক
আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
প্রশ্নঃ ‘সূত্রের চেয়ে ভাষ্য যেমন অনেক বেশি হয় তেমনি তাঁহার
ও উৎসাহের তুমুল হাত নাড়া তাঁর ক্ষীণ কণ্ঠকে বহুদূরে ছড়াইয়া গেল; তালের ঝোঁকে
মাথা নাড়িতে লাগিলেন এবং তাঁহার পাকা দাড়ির মধ্যে ঝড়ের হাওয়া মাতামাতি করিতে
লাগিল।- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? কোন প্রসঙ্গে
করা হয়েছে?
উত্তরঃ
প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিতে রাজনারায়ণ বসুর কথা বলা হয়েছে। রাজনারায়ণ বসু জ্যোতিরিন্দ্রনাথের শিকার দলের মধ্যে একজন মধ্যবিত্ত জমিদার
ছিলেন। তাঁর গান গাওয়া প্রসঙ্গে
উক্তিটি ব্যাবহার করা হয়েছে। শিকার থেকে ফেরার সময় ঝড়
শুরু হলে ঝড়ের তালে তালে স্বদেশ প্রেমের উৎসাহে গান গাইতে শুরু করেন। গানে
দেশপ্রেমের প্রকাশ ও উচ্ছ্বাস বয়সের বাধা অতিক্রম করে মনের নবীনতাকে প্রকাশ
করেছে- এই প্রসঙ্গে লেখক উক্তিটি ব্যাবহার করেছেন।
প্রশ্নঃ ‘স্বাদেশিকতা’ পাঠে মধ্যবিত্ত জমিদার কে ছিলেন? তার
সঙ্গে স্বাদেশিকতা সভার সদস্যরা কি করেছিলেন?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বাদেশিকতা’ পাঠে মধ্যবিত্ত জমিদার হলেন রাজনারায়ণ বসু। তিনি একজন নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন। কিন্তু স্বাদেশিকতার সভার উদ্দেশ্য ছিল জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক
সূত্রে গ্রথিত করা। তাই একদিন সেই নিষ্ঠাবান জমিদারের সঙ্গে
গঙ্গার ধারে বাগানে ঢুকে স্বাদেশিকতার সভার সদস্যরা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আহার
করেছিলেন।
প্রশ্নঃ ‘তাঁহার মধ্যে নানা বৈপরীত্যের সমাবেশ ঘটিয়াছিল”-
কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর মধ্যে কি রকম বৈপরীত্যের সমাবেশ ঘটেছিল?
উত্তরঃ
প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি রাজনারায়ণ বসুর সম্বন্ধে বলা হয়েছে। রাজনারায়ণ বসুর চুল দাড়ি পেকে গেলেও দলের সবথেকে ছোট ব্যক্তির সঙ্গে মিশে
যেতে অসুবিধা হয় না। বয়সের দিক থেকে কোনো তারতম্য
ছিল না অর্থাৎ বাইরে থেকে তার দেহের বয়স বৃদ্ধি পেলেও অন্তরে তিনি ছিলেন তরুণ,
উৎসাহী যুবক।
দ্বিতীয় পর্বঃ
Click Here: https://youtu.be/rZMMLtEQJ5I
hi khub bhaloi hoyeche
ReplyDelete