বাচ্য ও বাচ্য পরিবর্তন
বাচ্য ও বাচ্য পরিবর্তন
বাচ্য শব্দের ব্যুৎপত্তি বচ্
ধাতু যৎ (য) প্রত্যয়।
বাচ্য কথাটির অর্থ হল বাচনভঙ্গি বা বলার ধরণ।
এককথায়, বাক্ প্রকাশের ভঙ্গিকে বাচ্য বলে।
অন্যভাবে কর্তা, কর্ম ও
ক্রিয়ার প্রাধান্য নানারূপে বা ভঙ্গিতে
ব্যক্ত হওয়াকে বাচ্য বলে।
উদাহরণ, রতনবাবু বই পড়ান। এই
বাক্যটিকে আবার অন্যভাবে বলা যায় রতনবাবুর দ্বারা বই পড়া হয়। একই
বাক্যকে বিভিন্ন রূপে ব্যক্ত করাই হল বাচ্য।
বাচ্যের প্রকারভেদ - বাচ্য চার প্রকার।
কর্তৃবাচ্য,
কর্মবাচ্য, ভাব্বাচ্য এবং কর্মকর্তৃবাচ্য।
কর্তৃবাচ্য
কর্তাই প্রাধান।
ক্রিয়াপদ কর্তৃপদের
অনুগামী হয়।
যে বাচ্যে কর্তাই প্রধান
এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
যেমন - রাম চিঠি
লেখে।
ক) কর্তৃবাচ্যে কর্তায় সাধারণত শূন্য
বিভক্তি হয়। তবে কখনো কখনো’এ’ বা “তে”
বিভক্তি হয়ে থাকে। যেমন – ‘পাগলে
কিনা বলে, পন্ডিতে কি না করে’।
খ) কর্তৃবাচ্যের কর্তা প্রাধান্য পায় এবং
ক্রিয়া কর্তার অনুগামী হয়।
যেমন - রাম চিঠি লেখে। আলোচ্য
বাক্যে কর্তা রাম শূন্য বিভক্তি রয়েছে। ক্রিয়া ‘লেখে’ তার
অনুগামী হয়েছে এবং কর্তা প্রাধান্য পেয়েছে। তাই
আলোচ্য বাক্যটি কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ। অন্যদিকে ‘পন্ডিতে বলে’। এই
বাক্যে কর্তা পন্ডিতে “এ” বিভক্তি থাকলেও কর্তাই
প্রধান হয়েছে। তাই এটিও কর্তৃবাচ্য।
কর্মবাচ্য
এখানে কর্মই প্রধান।
ক্রিয়াপদ কর্মপদের অনুগামী হয়।
যে বাচ্যে কর্মপদ
প্রধান এবং ক্রিয়াপদটি কর্মপদের অনুগামী হয়, তাকে
কর্মপদ বলে।
ক) কর্মবাচ্যের কর্তায় ‘র’
বা ‘এর’ বিভক্তি যুক্ত হয়। পরে দ্বারা,
দিয়া, কর্তৃক অনুসর্গ যুক্ত হয়।
খ) কর্মবাচ্যে কর্তা অপ্রধান
হয়ে কর্মপদই প্রধান হয় এবং ক্রিয়া কাল বচন ও
পুরুষ অনুসারে কর্মপদের অনুগামী হয়।
উদাহরণ - রামের দ্বারা চিঠি
লেখা হয়। আলোচ্য বাক্যে কর্তা রামের ‘এর’
বিভক্তি যুক্ত এবং ‘দ্বারা’ অনুসর্গ
যুক্ত হওয়ায় কর্ম ‘চিঠি’ প্রাধান্য
পেয়েছে। এছাড়া ক্রিয়াপদ ‘লেখে’
কর্মপদের অনুগামী হয়েছে। এটি
তাই কর্মবাচ্যের উদাহরণ।
ভাববাচ্য
এখানে ভাব অর্থাৎ
ক্রিয়াপদই প্রধান।
যে বাচ্যে ভাব অর্থাৎ
ক্রিয়াপদই প্রধান হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
ভাববাচ্যের অন্য একটি প্রতিশব্দ
হলো ক্রিয়াবাচ্য।
ক) ভাববাচ্যের কর্তায় ‘র’ বা
‘এর’ বিভক্তি যুক্ত হয়।
খ) কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়া ধাতুর সঙ্গে ’আ’,
‘আনো’ বা ‘তে’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়ার প্রাধান্য সূচিত
হয়।
যেমন - রতনবাবুর বাংলা
পড়ানো হয়। আলোচ্য বাক্যটির কর্তা
(রতনবাবুর) ‘র’ বিভক্তি যুক্ত হওয়ায়
কর্তা অপ্রধান হয়ে ক্রিয়া অর্থাৎ ভাব (পড়ানো)
প্রাধান্য পেয়েছে। তাই
বাক্যটি ভাববাচ্য।
কর্মকর্তৃবাচ্য
যে বাচ্যে কর্মকে
কর্তৃ বলে মনে হয়, তাকেই কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
সাধারণত ক্রিয়াকে ‘কে’ দিয়ে
প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় আবার ‘কী’ দিয়ে প্রশ্ন
করলেও একই উত্তর পাওয়া যায়। সেই কর্ম বা কর্তাই কর্মকর্তৃবাচ্য হয়।
যেমন – ‘শঙ্খ বাজে’। কে
বাজে? উত্তর শঙ্খ বাজে। উত্তর হচ্ছে শঙ্খ। আবার কী বাজে? তখনো
উত্তর হচ্ছে শঙ্খ। এখানে কর্ম হলো শঙ্খ,
কর্তাও হল শঙ্খ। তাই এটি কর্মকর্তৃবাচ্য।
বাচ্য পরিবর্তন বা বাচ্যান্তর
এক বাচ্যের কোন বাক্যকে অন্য
বাচ্যে রূপান্তরিত করাই হল বাচ্য পরিবর্তন। এক বাচ্য থেকে
অন্য বাচ্যে রূপান্তরের জন্য কতগুলি
নিয়ম মেনে চলতে হয়।
কর্তৃবাচ্য > কর্মবাচ্য
১। কর্তৃবাচ্যের কর্তাকে ‘র’ বা
‘এর’ বিভক্তিযুক্ত করতে হয় এবং প্রায় ক্ষেত্রেই ‘দ্বারা’ দিয়া
প্রভৃতি অনুসর্গ বসাতে হয়।
২। কর্তৃবাচ্যে কর্তা উহ্য থাকলে কর্মের
রূপের কোন পরিবর্তন হয় না। কর্তৃবাচ্যের কর্তা ‘শূন্য’
বিভক্তি অপরিবর্তিত রেখে তার সঙ্গে ‘কর্তৃক’ অনুসর্গ যুক্ত
করতে হয়।
কর্মবাচ্য > কর্তৃবাচ্য
১। কর্মবাচ্যের কর্তায় ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি তুলে দিয়ে ‘শূন্য’
বিভক্তি করতে হয়। স্থান বিশেষে ‘এ’ বা ‘তে’ বিভক্তিও হতে পারে।
২। দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক অনুসর্গ তুলে দিয়ে কর্তা সরাসরি প্রাধান্য
প্রতিষ্টা করতে হবে।
কর্তৃবাচ্য > ভাববাচ্য
১। কর্তৃবাচ্যের কর্তা ভাববাচ্যে ‘র’ বা
‘এর’ বিভক্তি যুক্ত হয়।
২। কর্তৃবাচ্যের কর্ম
ভাববাচ্যে ক্রিয়া সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
৩। কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়ার ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ বা
‘আনো’ বা ‘তে’ প্রত্যয় যুক্ত করে তৈরি হয় ভাববাচ্যের যৌগিক ক্রিয়ার
অসমাপিকা ক্রিয়ার অংশটি।
ভাববাচ্য >
কর্তৃবাচ্য
১। ভাববাচ্যের কর্তাকে
বিভক্তি যুক্ত করতে হয়।
২। ভাববাচ্যে ক্রিয়ার সাথে
যুক্ত কর্মকে পৃথক করতে হয়।
৩। ভাববাচ্যের একপদী ক্রিয়া
কর্তৃকারকের পুরুষ বিভক্তি যুক্ত হয়।
কিছু উদাহরণ
আপনারা সভ্য জাতি বলিয়া অভিমান করেন।
(ভাববাচ্যে)
o
সভ্য জাতি বলিয়া আপনাদের অভিমান করা হইয়া
থাকে।
মহাশয়ের আশা ভালো হয় নাই।
(কর্তৃবাচ্য)
o
মহাশয় আসিয়া ভাল করেন নাই।
কোথা হইতে আসিয়াছ? (ভাব্বাচ্য)
o
কোথা হইতে আসা হইয়াছে?
আমিনা তাহা জানিত না। (ভাববাচ্য)
o
আমিনার তাহা জানা ছিল না।
বিনা বন্ধুকেই বা যাচ্ছ কোথায়? (ভাববাচ্য)
o
বিনা বন্ধুকেই বা যাওয়া হচ্ছে কোথায়?
খাদ্যের জন্য তাকে মাটির উপর নির্ভর করতে
হয়।
(কর্তৃবাচ্য)
o
খাদ্যের জন্য সে মাটির উপর নির্ভর করে।
এ জমি লইব কিনে। (কর্মবাচ্য)
এ জমি কিনিয়া লওয়া হইবে।
সময়ে বুঝা যাবে। (কর্তৃবাচ্যে)
o
সময়ে বুঝব।
ভাবতেই ওর কষ্ট হল। (কর্তৃবাচ্য)
o
ভাবতে ও কষ্ট পেল।
লোকের ধান এখনো সব ঝাড়া
হয়নি। (কর্তৃবাচ্যে)
o
লোকে এখনো সব ধান ঝাড়েনি।
এখন আর বুঝিতে ভুল হয় না। (কর্তৃবাচ্যে)
o
এখন আর বুঝিতে ভুল করিনা।
সে ঘরে মায়ের জায়গা হয় না। (কর্তৃবাচ্য)
o
সে ঘরে মা জায়গা পায় না।
চলি যাও শহরে। (ভাববাচ্যে)
o
চলে যাওয়া হোক শহরে।
ইস, সাধ করে আবার নাম রাখা হয়েছে মহেশ। (কর্তৃবাচ্যে)
o
ইস, সাধ করে না আবার নাম রেখেছে মহেশ।
এক কাজ করতে পারি।
(ভাববাচ্য)
o
এক কাজ করা যেতে পারে।
আকালে সব এক হয়া গেল। (কর্তৃবাচ্য)
o
আকাল সব এক করে দিল।
রূপকথার কোনো দেশ দেখিনি তো। (কর্মবাচ্যে)
o
রূপকথার কোনো দেশ (আমার) দেখা হয়নি তো।
আজ আমার দুটি অবস্থান করুন।
(ভাববাচ্যে)
o
আজ আমার কুটিরে অবস্থান করা হোক।
ধপ করে ডেকের ওপর বসে পড়ল। (ভাববাচ্য)
o
ধপ করে ডেকের ওপর বসে পড়া হল।
অ্যামোনিয়ায়
টমেটো গাছের অনিষ্ট হয়। (কর্তৃবাচ্যে)
o
অ্যামোনিয়া টমেটো গাছের অনিষ্ট করে।
মুইও যে মচ্ছি। (ভাববাচ্যে)
o
মোরও যে মরা হচ্ছে।
খুঁজে আনা। (ভাববাচ্যে)
o
খুঁজে আনা হোক।
শিশুটিকে আজ কোথাও দেখছি না। (কর্মবাচ্যে)
o
শিশুটিকে আজ কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
খাদ্যের জন্য তাকে মাটির ওপর
নির্ভর করতে হয়। (কর্তৃবাচ্য)
o
খাদ্যের জন্য সে মাটির ওপর নির্ভর করে।
নির্ভয়ে দাঁড়াক। (ভাববাচ্য)
o
নির্ভয়ে দাঁড়ানো হোক।
বাজার সুরের কথা ছাড়। (ভাববাচ্যে)
o
বাজার সুরের কথা ছাড়া হোক।
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি।
(ভাববাচ্যে)
o
বাংলার মুখ আমার দেখা
হইয়াছে।
অনেক টাকা কামিয়েছিল।
(কর্মবাচ্যে)
o
অনেক টাকা কামানো হইয়াছিল।
কিন্তু কাহারো উত্তর পাইলেন না।
(ভাববাচ্য)
o
কিন্তু কাহারও উত্তর পাওয়া
গেল না।
আমার খাওয়া-দাওয়া
হয়নি। (কর্তৃবাচ্য)
o
আমি খাওয়া-দাওয়া করিনি।
কোথা হইতে আসিয়াছ? (ভাববাচ্যে)
o
কোথা হইতে আসা হইয়াছে?
সে সেদিন গাঁয়েই ছিল। (ভাববাচ্যে)
o
তার সেদিন গাঁয়েই থাকা হয়েছিল।
শংকরের মনে হল। (কর্তৃবাচ্য)
o
শংকর মনে করল।
সকাল হইতে দেখিতাম।
(ভাববাচ্যে)
o
সকাল হইতে দেখা হইত।
তাকে আগাগোড়া পড়ে শোনালুম। (ভাববাচ্যে)
o
তাকে আগাগোড়া পড়ে শোনানো হল।
জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না।
(ভাববাচ্যে)
o
জন্মজন্মান্তরেও ভোলা হইবে না।
সরকার থাকি এইমতো হুকুম হইছে। (কর্তৃবাচ্য)
o
সরকার এইমতো হুকুম দিয়েছে।
তুমি পালবাবুদের চেয়ে
উঁচু ঘর তোল কেন? (ভাববাচ্যে)
o
তোমার পালবাবুদের চেয়ে উঁচু ঘর তোলা হয়
কেন?
এখান হইতে চলিয়া যা।
(ভাববাচ্যে)
o
এখান হইতে চলিয়া যাওয়া হউক।
গাইব না গান।
(ভাববাচ্যে)
o
গাওয়া হবে না গান।
ওদের জানা নেই।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
ওরা জানে না।
গল্পটা সবাই জানে।
(ভাববাচ্যে)
o
গল্পটা সবার জানা।
আগে কি তোমাকে কোথাও দেখেছি? (ভাববাচ্যে)
o
আগে কি তোমার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে?
গান শুনলেন? (ভাববাচ্যে)
o
গান শোনা হল।
আমার সঙ্গে এসো। (ভাববাচ্যে)
o
আমার সঙ্গে আসা হোক।
তোমার কোথায় থাকা হয়?
(কর্তৃবাচ্য)
o
তুমি কোথায় থাক?
পথ দেখাও। (ভাববাচ্যে)
o
পথ দেখানো হোক।
ভিতর হইতে কিছু তো দিলাম না। (কর্মবাচ্যে)
o
(আমাদিগের দ্বারা)
ভিতর হইতে কিছু তো দেওয়া হইল না।
মরতে তো একদিন হবেই।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
একদিন তো মরবই।
তুমি যেতে পারবে না। (ভাববাচ্যে)
o
তোমার যাওয়া হবে না।
আমার সঙ্গে এসো।
(ভাববাচ্যে)
o
আমার সঙ্গে আসা হোক।
তোমার কোথায় থাকা হয়? (কর্তৃবাচ্য)
o
তুমি কোথায় থাকো?
এই দণ্ড মঞ্জুর করুন। (ভাববাচ্যে)
o
এই দণ্ড মঞ্জুর করা হোক।
গুন্ডারা হঠাৎ লোকটাকে আক্রমণ করল।
(কর্মবাচ্যে)
o
গুন্ডাদের দ্বারা হঠাৎ লোকটা আক্রান্ত হল।
তুমি যেতে পারবে না (ভাববাচ্যে)
o
তোমার যাওয়া হবে না।
আপনি এখন কোথায় থাকেন?
(ভাববাচ্যে)
o
আপনার এখন কোথায় থাকা হয়।
আমার সঙ্গে এস। (ভাববাচ্যে)
o
আমার সঙ্গে আসা হোক।
আপনি কবে আসবেন?
(ভাববাচ্যে)
o
আপনার কবে আসা হবে?
দারোগা চোর ধরিল।
(কর্মবাচ্যে)
o
দারোগা কর্তৃক চোর ধৃত হইল।
তোমার কোথায় থাকা হয়?
(কর্তৃবাচ্য)
o
তুমি কোথায় থাকো?
শাঁখ বাজে। (কর্তৃবাচ্য)
o
শাঁখ বাজায় বা শাঁখ বাজাই।
আমি বাড়ি যেতে পারব না। (ভাববাচ্যে)
o
আমার বাড়ি যাওয়া হইবে না।
বইটা আমার পড়া হয়নি।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
বইটা আমি পড়িনি।
তাকে টিকিট কিনতে হয়নি।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
সে টিকিট কেনেনি।
তার পিতার চামড়ার ব্যবসা ছিল।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
তার পিতা চামড়া ব্যবসা করতেন।
গান শুনলে। (ভাববাচ্যে)
o
গান শোনা হল।
আমি যাইব (ভাববাচ্যে)
o
আমার যাওয়া হইবে।
তুমি কখন এলে?
(ভাববাচ্যে)
o
তোমার কখন আসা হল?
আসুন, বসুন। (ভাববাচ্যে)
o
আসা হউক, বসা হউক।
তুই কী করছিস? (ভাববাচ্যে)
o
তোমার কী করা হচ্ছে?
মানুষের কথাবার্তা শুনিতে পাইলেন।
(কর্মবাচ্যে)
o
মানুষের কথাবার্তা (তার
দ্বারা) শ্রুত হইল।
আমরা বাঁচিব না। (ভাববাচ্যে)
o
আমাদের বাঁচা হইবে না।
এ দণ্ড মঞ্জুর করুন।
(ভাববাচ্যে)
o
এ দণ্ড মঞ্জুর করা হোক।
আমি আপনাকে চিনি।
(ভাববাচ্যে)
o
আমার আপনাকে চেনা লাগে।
চোখের জল বাগ মানিত না। (কর্মবাচ্যে)
o
চোখের জল আমা কর্তৃক বাগ মানিত না।
কী করার আছে? (কর্তৃবাচ্যে)
o
কী করবো?
আমি মরিতে ভীত নহি। (ভাববাচ্যে)
o
আমার মরিতে ভয় নাই।
পাইলাম একপাটি মোজা। (কর্মবাচ্যে)
o
পাওয়া গেল এক পাটি মোজা।
সে কোথায় থাকে?
(ভাববাচ্যে)
o
তার কোথায় থাকা হয়?
পাত্র করে কী? (ভাববাচ্যে)
o
পাত্রের কী করা হয়?
তুমি কি যাবে?
(ভাববাচ্যে)
o
তোমার কি যাওয়া হবে?
প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হবেই। (কর্তৃবাচ্য)
o
প্রকৃত সত্য প্রকাশ করবই।
রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাস রচনা করেন।
(কর্মবাচ্যে)
o
রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গোরা উপন্যাস রচিত
হয়।
এবার মঞ্জুর হইল।
(ভাববাচ্য)
o
এবার মঞ্জুর করিলেন।
গোড়া থেকে বলি। (কর্তৃবাচ্য)
o
গোড়া থেকে বলা হোক।
বসতে আজ্ঞা হোক। (কর্তৃবাচ্য)
o
অনুগ্রহ করে বসুন।
নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়। (কর্তৃবাচ্য)
o
নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।
নৌকা আর ফিরিল না। (ভাববাচ্যে)
o
নৌকা আর ফেরা হল না।
ক্ষীণ চাঁদ ওঠে।
(ভাববাচ্য)
o
ক্ষীণ চাঁদের ওঠা হয়।
কর্মীদের দ্বারা অভিনীত হয়েছে।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
কর্মীরা অভিনয় করেছেন।
আমার হাতে তুমি ধরা পড়বেই। (কর্তৃবাচ্য)
o
আমি তোমাকে ধরবই।
ডাক্তারের রোগী দেখা
হয়েছে। (কর্তৃবাচ্য)
o
ডাক্তার রোগী দেখেছেন।
ভূগোল পড়া হয়েছে। (কর্তৃবাচ্য)
o
ভূগোল পড়ছি।
জয়পুর হইতে পাথর আনীত
হইয়াছে।(কর্তৃবাচ্য)
o
জয়পুর হইতে পাথর আনিয়াছি।
কাদের দিয়ে খবর দেওয়া হল? (কর্তৃবাচ্য)
o
কারা খবর দিল?
আমার দ্বারা হবে না। (কর্তৃবাচ্য)
o
আমি পারব না।
খবরটা রেডিওতে প্রচারিত হয়েছে। (কর্তৃবাচ্য)
o
খবরটা রেডিও প্রচার
করেছে।
ঘরে আলো জ্বালাইনি। (ভাববাচ্যে)
o
ঘরে আলো জালানো হয় নি।
কী বিপদেই পড়লাম? (ভাববাচ্য)
o
কী বিপদে পড়া গেল।
ভাই, তুই কিভাবে রাজবাড়ি যাবি? (ভাববাচ্য)
o
ভাই, কীভাবে তোর রাজবাড়ি
যাওয়া হবে।
তবে যুদ্ধ করো। (ভাববাচ্য)
o
তবে যুদ্ধ করা হোক।
কোথা থেকে আসা হচ্ছে?
(কর্তৃবাচ্যে)
o
কোথা থেকে আসছেন।
দেখে আশ্চর্য বোধ হল।
(কর্তৃবাচ্যে)
o
দেখে আশ্চর্য বোধ করলাম।
তোমার মত কৃপণ আর দেখা যায় না। কর্তৃবাচ্যে)
o
তোমার মতো কৃপণ আর দেখিনি।
*****************************************
No comments