Header Ads

Header ADS

ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা ব্যাখ্যামূলক আলোচনা

 ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা

ভাষাবিজ্ঞান

Ø  ভাষাবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ Linguistics ।

Ø  Linguistics শব্দটির অর্থ হল Science of Language বা ভাষার বিজ্ঞান।

Ø  ভাষাবিজ্ঞান – ভাষার বিজ্ঞানই হল ভাষাবিজ্ঞান 

Ø  ভাষাবিজ্ঞান  মানুষের মুখের ভাষা চর্চা করে।

Ø  মানুষের মুখের ভাষার বিজ্ঞানসম্মত চর্চাকে ভাষাবিজ্ঞান বলে।

Ø  মুখের ভাষাকে ভাষা বিজ্ঞানীরা আসল ভাষা বলে.

Ø  সামগ্রিকভাবে মানুষের মুখের ভাষাগঠন প্রকৃতি পদ্ধতি সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত চর্চার নাম ভাষাবিজ্ঞান

Ø  ভাষাবিজ্ঞান বিজ্ঞানের মতই নিত্য প্রগতিশীল এবং সক্রিয় একটি বিদ্যা

 


এই ধরণের MCQ/Mock Test পেতে গ্রুপে Join হতে পারেন- Click Here  Eschool Online Whatsapp Group

Or follow the Youtube Channel Click Here Eschool

Follow the Facebook Page Click Here Eschool



ভাষাবিজ্ঞানের কাজ

Ø  প্রয়োজন অনুসারে লেখয ভাষা থেকে তথ্য  সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা এবং সেই সাধারণ সিদ্ধান্ত থকে  বিশেষ সুত্র প্রণয়ন করা।

 ভাষাবিজ্ঞানের গতি

Ø  বিশেষ(Particular)থেকে সাধারণের(General) দিকে।

ভাষার বিজ্ঞানসম্মত আলোচনার ধাপ –

Ø  তথ্য সংগ্রহ (Data Collection) > নথিভুক্ত করণ (Recording) তথ্য বিশ্লেষণ (Analysis) > সাধারণীকরণ (Generlisation) > অনুমান (Hypothesis) >  যাচাই (ভেরিফাই) > সূত্র (Linguistic Law)।  এইভাবেই ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত চর্চা করা হয়।

Ø  বিশেষ (Particular) থেকে সাধারণ (General) -এর দিকে এগোনো হয় যে পদ্ধতিতে, তাকে বলে আরোহমূলক পদ্ধতি।




 

ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখা – ৩টি।

ক. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

Ø  স্যার উইলিয়াম জোনস(১৭৮৬) সূত্রপাত করেন।

Ø  পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা গুলির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে তাদের উৎস, অতীত রূপ, প্রকৃতি ও ক্রমবিকাশের রূপরেখা নির্মাণ করা হয়।

Ø  দুই বা ততোধিক ভাষা তুলনা করে মূল ভাষা উৎস সন্ধান করা হয়।

Ø  আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের হাত ধরে।

 

 

খ. কালানুক্রমিক বা ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান

 

Ø  কোনো এক বা একাধিক ভাষার উৎস এবং ক্রমবিবর্তনের কালানুক্রমিক বর্ণনা দেওয়া হয়। যেমন – বাংলা ভাষার বিবর্তনের মাধ্যমে উৎস নির্ণয়।

Ø  ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ভাষার অতীত ইতিহাসকে গুরুত্ব দেয়

Ø  একটি ভাষার ঐতিহাসিক বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করা হয়

Ø  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার যে বিবর্তন হয় এবং সেই বিবর্তনের ফলে যে যে পরিবর্তন তার নির্দেশ করা ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের অন্যতম কাজ

Ø  ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান শব্দ ও পদ মধ্যস্থ ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ ও বিভিন্ন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন যা ভাষার মধ্যে ক্রিয়া করে তা অনুসন্ধান করে

 

 

গ. এককালিক বা বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান -

 

Ø  একটি নির্দিষ্ট কালসীমা বা যুগের রূপ ও গঠন সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।

Ø  খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে ভারতে পাণিনির "অষ্টাধ্যায়ী" গ্রন্থেএই পদ্ধতির সূত্রপাত।

Ø  সুইস ভাষাবিজ্ঞানী ফার্দিনান্দ দ্য সোস্যুর পাশ্চাত্যে বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা।

Ø  তিনিই প্রথম বর্ণনামূলক ধারার সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

Ø  বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সূত্রপাত বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে প্রধানত ইউরোপ ও মার্কিন দেশে

Ø  সমকালীন প্রচলিত ভাষা গঠন রীতি বিচার বিশ্লেষণ করে

Ø  বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে, যে ভাষার কোন অতীত নিদর্শন নেই অথবা যে ভাষা এখনো পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয়নি সেই ভাষাকে।

Ø  এই বিজ্ঞানের আলোচনার মুখ্য চারটি বিষয় হলো – ধ্বনিবিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব এবং বাগার্থ তত্ত্ব

 

 

ভাষার কাঠামোর বিভিন্ন স্তরের ওপর ভিত্তি করে ভাষাবিজ্ঞানকে নিচের শাখাগুলোতে ভাগ করা যায়:

ক) প্রধান ভাষাবিজ্ঞান

ভাষার কেন্দ্রিয় চরিত্র, বিন্যাস এবং তার গঠণ প্রণালী আলোচিত হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত হয় –

i)             ধ্বনিবিজ্ঞান:  ধ্বনির উচ্চারণ, শ্রুতি ও  ধ্বনিতরঙ্গ আলোচনা করে।

ii)            ধ্বনিতত্ত্ব: ধ্বনির ব্যবহারবিন্যাস বা প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।

iii)          রূপমূলতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব: শব্দের গঠন।

iv)           বাক্যতত্ত্ব: কীভাবে শব্দ ও শব্দগুচ্ছের মত ছোট এককগুলি সংযুক্ত হয়ে বাক্য গঠন করে, তার আলোচনা।

v)            শব্দার্থ তত্ত্ব বা অর্থবিজ্ঞান: শব্দার্থ ও বাক্য গঠনে শব্দার্থের ভূমিকা।

vi)           প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্ব/প্রয়োগতত্ত্ব: ভাষার প্রয়োগে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব।

 

 

খ) ফলিত ভাষাবিজ্ঞান

বিভিন্ন ভাষার সঙ্গে মানব ভাষার সম্পর্ক। ভাষার সঙ্গে অন্যান্য বিদ্যা চর্চা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিচার ও বিশ্লেষণ করা হয় শুধু তাই নয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অবদান বা প্রয়োগ নিয়েও আলোচনা করে।

i)     সমাজভাষাবিজ্ঞান:

Ø  ভাষা ও সমাজ কাঠামোর পারস্পরিক সম্পর্কের গবেষণা।

Ø  ভাষা কীভাবে সমাজে কাজ করে এবং সমাজ কীভাবে ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করে তা নিয়ে আলোচনা করে

Ø  সমাজ ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে - বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে ভাষা ব্যবহারের ভিন্নতা, নারী পুরুষের মধ্যে ভাষা ব্যবহার ভিন্নতা, অঞ্চলভেদে ও পোশাক ভেদে ভাষার ভিন্নতা।

Ø  সমাজ ভাষাবিজ্ঞানে তিনটি শ্রেণি

ক) বর্ণনাত্মক ভাষাবিজ্ঞান

Ø  ভাষা বৈচিত্র্যের উপর গুরুত্ব দেয়

Ø  ভাষার বক্তা, ভাষার বিশেষ রূপ, শ্রোতা, ভাষা ব্যবহারের বিশেষ কারণ - এর প্রধান আলোচ্য বিষয়

খ) সচল বা পরিবর্তমান সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

Ø  সমাজ ভাষাকে মূলত ঐতিহাসিক দিক থেকে আলোচনা করে।

Ø  কোন বিশেষ সমাজ ভাষার উদ্ভব, বিবর্তন, বিস্তার ও সংকোচনের ধারা নিয়ে কাজ করে

গ) প্রয়োগমূলক মূলক সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

Ø  এতে ভাষার প্রয়োগ ও ব্যবহারিক দিকটি দেখা হয়।

Ø  এতে মাতৃভাষা শেখানোর পদ্ধতি, অন্য ভাষা শেখার পদ্ধতি উদ্ভাবন, অনুবাদ নীতি, লিপি প্রণালীর উদ্ভাবন, পরিমার্জন ও সংশোধন, বানান সংস্কার, ভাষা পরিকল্পনার দিক থেকে রাষ্ট্রভাষা ও সংযোগের ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়

 

ii)    মনোভাষাবিজ্ঞান:

Ø  মনের ভেতর ভাষা কীভাবে রূপলাভ করে, সে সম্পর্কিত আলোচনা।

Ø  এটি মানব মনের প্রকৃতি ও গতি প্রকৃতির সঙ্গে মানব ভাষার সম্পর্ক

Ø  এক কথায় ভাষা ও মনের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে

Ø  এই বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা - শিশু ক্ষেত্রে তারা কিভাবে কথা বলে, কিভাবে বাক্য তৈরি করে, তার ধারাবাহিবিশ্লেষণ করে।

Ø  প্রাথমিক অনুমান ছিল যে, মানুষ থেকে ভাষিক পরিবেশে  থেকে অনুকরণের মাধ্যমে ভাষা আয়াত্ত করে।

Ø  নোয়াম চমস্কি এই তত্ত্ব থেকে সরে এসে বলেন যে, মানুষ মানুষের মস্তিস্কেই ভাষা শেখার সামর্থক রয়েছে। মান মস্তিস্কই হল ভাষা শেখার কেন্দ্র

iii)  গাণিতিক  গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান: ভাষার গাণিতিক ও পরিসাংখ্যিক প্রকৃতি, কম্পিউটারে মানুষের ভাষার প্রক্রিয়াকরণ, ইত্যাদি।

iv)   শৈলীবিজ্ঞান:

Ø  কোন লেখকের লেখার ফর্ম বা শৈলী বিশ্লেষণই হল স্টাইলিস্টিকস

Ø  শৈলীবিজ্ঞান প্রয়োগ নির্ভর বিজ্ঞান

Ø  কোন পাঠ্যবস্তুর ভাষা রীতিকে স্যামুয়েল ওয়েলেসলি চিন্তার পোশাক বা দ্যা ড্রেস অফ থটস্‌ বলেছেন।

শৈলী বিজ্ঞান মূলত দুই প্রকারের - মূল্যায়ন ভিত্তিক শৈলী বর্ণনা ভিত্তিক শৈলী বিজ্ঞান

ক) মূল্যায়ন ভিত্তিক শৈলী বিজ্ঞান

Ø  লেখকেশৈলীর বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রকাশ করে

Ø  এক লেখকের লেখার সঙ্গে অন্য লেখকের লিখন শৈলীর পার্থক্য নিরূপণ করা যায়

খ) বর্ণনা ভিত্তিক শৈলী বিজ্ঞান

Ø  লেখকের শৈলীর বিবরণ বা বর্ণনা দেয়

Ø  একই লেখকের বিভিন্ন এই বিভিন্ন লেখার শৈলীর পার্থক্য নিরূপণ করা যায়।  

 

v)    নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান: সাংস্কৃতিক পরিবেশভেদে ভাষার গবেষণা।

vi)    ভাষার দর্শন: ভাষা ও যৌক্তিক চিন্তাধারার সম্পর্ক।

vii)    চিকিৎসা ভাষাবিজ্ঞান: বাক-রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় ভাষাবিজ্ঞানের প্রয়োগ।

viii)  স্নায়ু ভাষাবিজ্ঞান :

Ø  এতে আলোচিত হয় ভাষার সঙ্গে মানব মস্তিষ্কের স্নায়ুর সম্পর্ক। অনুভব, জ্ঞান আহরণ, বলা, পড়া, লেখা সবই মস্তিস্ক প্রসূত।

Ø  মস্তিস্কের বাম গোলার্ধে – বলা, লেখা, ভাষা, পড়া, গণনা, বিশ্লেষণ , চিন্তা যুক্ত।

Ø  মস্তিস্কের ডান গোলার্ধে – সামগ্রিক বিকাশ, অ-ভাষা প্রস্তুতি রোমন্থন।

ix)   অভিধান বিজ্ঞান

Ø  যাস্কের ‘নিরুক্ত’ থেকেই ভারতে অভিধান বিজ্ঞান রচনার সূত্রপাত।

Ø  এটি ভাষার ধ্বনি ও অর্থের মধ্যে সংযোগ ব্যাখ্যা করে।

Ø  এতে ভাষার প্রকাশগত দিক ও বিষয়গত দিকটি গুরুত্ব পায়।

Ø  ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন গারল্যান্ড অভিধান বোঝাতে প্রথম 'Dictionarius' শব্দটি ব্যবহার করেন।

Ø  ১৫৩৮ সালে ইংরেজি ডিকশনারি শব্দটি পাওয়া যায় স্যার তমাস এলিয়টের ল্যাটিন ইংরেজি অভিধানে।

Ø  অভিধানকে ভাষাবিজ্ঞানের একটি সংযোগ মূলক বিভাগ

Ø  অভিধানে শব্দের মান্য উচ্চারণ, শব্দের আঞ্চলিক ও উপভাষাগত অর্থ পার্থক্য, প্রসঙ্গ অনুসারে অর্থ পার্থক্য, সময়ের সঙ্গে অর্থ পরিবর্তন, একাধিক প্রতিশব্দ ও ব্যুৎপত্তি অন্তভূক্ত থাকে।

Ø  অভিধান দুই প্রকার

ক) এক ভাষিক : একই ভাষার শব্দকে একই ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়যেমন বাংলা থেকে বাংলা, ইংরেজি থেকে ইংরেজি

খ) দ্বিভাষিক অভিধান : এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়. যেমন বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলা,  হিন্দি থেকে বাংলা ইত্যাদি

Ø  যখন কোন অভিধানে একটি শব্দের প্রাথমিক রূপ, প্রাথমিক প্রচলনের অর্থ, অর্থের বদল, গঠন এবং সাম্প্রতিক রূপ দেখানো হয়, তাকে ইতিহাস ভিত্তিক অভিধান বলা হয়একটি ইতিহাসভিত্তিক অভিধান হল—The Shorter Oxford English Dictionary.

Ø  আদর্শ অভিধানে প্রতিটি Entry-র বা শব্দের (১) গঠনগত স্তর, (২) অন্বয়গত স্তর এবং (৩) বাগার্থগত স্তর—এই তিনটি স্তর থাকে।

 

 

ভাষা বিষয়ক গবেষণার প্রকৃতি ও স্থানকালিক বিস্তার অনুসারে ভাষাবিজ্ঞানকে নিচের শাখাগুলোতে ভাগ করা যায়:

Ø  তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান: বিভিন্ন ভাষা কী ভাবে কাজ করে।

Ø  ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান: ভাষাগুলো কী ভাবে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্ভূত হল।

Ø  উপভাষাতত্ত্ব: একই ভাষার ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষণা।

Ø  ভাষাতাত্ত্বিক শ্রেণীকরণবিদ্যা: বিভিন্ন ভাষাকে তাদের বহিঃস্থ গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীকরণ।

 

গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়

Ø  LAD – Language Acquisition Device

Ø  LAS – Language Acquisition System.

Ø  PET- Positron Emission Tomography।

Ø  FMRI - Functional Magnetic Resonance Imaging।

Ø  ১৯৫৭ সালে Syntactic Structures নামের গ্রন্থে চম্‌স্কি উপস্থাপন "রূপান্তরমূলক সৃষ্টিশীল ব্যাকরণ" এর ধারণা দেন।

Ø  'থিসরাস' এই ইংরেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক thesaurus শব্দ (অর্থ ‘ভাণ্ডার’) থেকে। 'থিসরাস' শব্দের অর্থ 'সমার্থ শব্দকোশ’, অর্থাৎ তা প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দের কোশগ্রন্থ।

Ø  মানুষের মস্তিষ্কে ভাষা শেখার সামর্থ্টি প্রি-প্রোগ্রামড অবস্থায় থাকে বলে মানব-মস্তিষ্কে থাকা সেই ব্যাকরণকে নোয়াম চমস্কি বলেন সর্বজনীন ব্যাকরণ।

Ø  'চিন্তার পোশাক' কথাটি স্যামুয়েল ওয়েসলির। একজন লেখক তার চিন্তাভাবনাকে যেভাবে সাজিয়ে ভাষায় প্রকাশ করেন, সেই ভাষারীতিকেই বলা হয় চিন্তার পোশাক।

Ø  ভাষা-ব্যবহারের সময়কালীন পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী অর্থাৎ উপলক্ষ্য অনুযায়ী উপভাষা বা মৌখিক ভাষার যে পরিবর্তন হয়, তাকেই বলা হয় রেজিস্টার।

Ø  কোনো ব্যক্তি ভাষা-ব্যবহারে বিশেষ উপভাষার যে বিশেষ রীতি ব্যবহার করে, তাকেই বলা হয় কোড।

Ø  কোনো ব্যক্তি পরিস্থিতি তথা উপলক্ষ্য অনুযায়ী তার কোড' (বিশেষ উপভাষার বিশেষ রীতি)-এর যে পরিবর্তন করে, তাকে বলা হয় কোডবদল।

Ø  দুই ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় উভয় ভাষাই পরস্পরের দ্বারা প্রভাবিত এবং পরিবর্তিত হয়ে সমান্তরালভাবে থেকে যাওয়াকে বলা হয় দ্বিভাষিকতা।

Ø  ভাষার নানা উপাদান (ধ্বনি, রূপ বা শব্দাংশ, বাক্য ইত্যাদি) এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মূল সংবিধি, ভাষার বিভিন্ন উপাদান এবং উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের জালবিন্যাসকেই সোস্যুর 'লাঙ' বলেছেন।

Ø  ভাষা ব্যবহারের উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপনের মধ্যে দিয়ে নিজস্ব বিন্যাসে স্পষ্ট ও প্রকট বাচনক্রিয়াকে ‘পারোল’ বলে।

Ø  কোনো রচনার পরিণামী প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরি হলে যে নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসে পড়ে, তাকে বলা হয় আলংকারিক নির্বাচন।

Ø  বক্তব্যকে পাঠকের সামনে নিয়ে আসাই হল প্রমুখন।

Ø  ভাষার প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনাই হল বিচ্যুতি। লেখক ভাষা-আদর্শের হেরফের ঘটিয়েই বিচ্যুতির সৃষ্টি করেন।

Ø  একই কথার পৌনঃপুনিক ব্যবহারই হল সমান্তরালতা।

Ø  কোনো বড়ো আখ্যান রচনায় সৃষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ, বহুসংখ্যক চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন স্বরকে প্রতিষ্ঠা করে এবং সেই স্বরগুলি রচনার জটিল বিন্যাসে গ্রথিত হয় এটাই বহুস্বরতা বা বহু ধ্বনিময়তা।

Ø  ‘আধার’ হল ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ, যার সাহায্যে ভাষা আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে ‘আধেয়’ হল অর্থ, যার দ্বারা শ্রোতা বক্তার মনোভাব বুঝতে পারে। 

 

 

MCQ: 1

 

১। ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় নয়

ক) মুখের ভাষা খ) কথ্য ভাষা    গ) লেখ্য ভাষা   ঘ) বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা

 

২। ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখা নয়

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

 

৩। বিভিন্ন ভাষার সাদৃশ্য দেখে উৎস ভাষা নির্ণয় করার চেষ্টা করে

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

 

৪। প্রচলিত ভাষার গঠনরীতি বিশ্লেষিত হয়

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) শৈলী বিজ্ঞানে

 

৫। ধনী বিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দার্থ তত্ত্ব আলোচিত হয়

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) প্রধান ভাষাবিজ্ঞানে   

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) খ ও গ উভয়েই 

 

৬। ভাষা কিভাবে সমাজে কাজ করে এবং সমাজ কিভাবে ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করে তা নিয়ে চর্চা করে

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

 

৭। কোন ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার বিবর্তনের ইতিহাস আলোচিত হয়?

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান               খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান

 

 

উত্তরমালাঃ 1

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

1.      

2.      

3.      

4.      

5.      

6.      

7.      

8.      

 

9.      

 

10.   

 

 

 

MCQ : 2

১। ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়টি কি?

ক) ধ্বনি        খ) ভাষা         গ) সাহিত্য       ঘ) বিজ্ঞান

 

২। ‘Phonetics’ -এর বাংলা প্রতিশব্দ হল__

ক) ধ্বনিতত্ত্ব     খ) ধ্বনিবিজ্ঞান   গ) রূপতত্ত্ব      ঘ) ধ্বনি প্রক্রিয়া

 

৩। ‘Syntax’ শব্দের অর্থ হল__

ক) শব্দ বিজ্ঞান খ) বাক্যতত্ত্ব     গ) শৈলী বিজ্ঞান         ঘ) ভাষা বিজ্ঞান

 

৪। ইতিহাস আলোচনা করে ভাষার উৎস নির্ণয় করে -  

ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান        খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান       

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান         ঘ) সমাজভাষাবিজ্ঞান

 

৫। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ‘অভিধান’ বোঝাতে ‘Dictionarius’ শব্দটি ব্যবহার করেন –

ক) স্যামুয়েল ওয়েসলি    খ) মিখাইল বাখতিন      গ) জন গারল্যান্ড         ঘ) মিলিচ

 

৬। ভারতে কার হাত ধরে ‘অভিধান’ রচনার সূত্রপাত হয়?

ক) যাস্ক         খ) বিদ্যাসাগর   গ) রামমোহন    ঘ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়  

 

৭। সমকালীন ভাষার গঠনরীতি বিচারবিশ্লেষণ করে কোন্ ভাষাবিজ্ঞান ? 

ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান        খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান         ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান 

 

৮। যেসব ভাষার অতীত নিদর্শন নেই অথবা যেসব ভাষার লিপি নেই, সেইসব ভাষার আলোচনার জন্য সর্বাপেক্ষা বেশি কার্যকর কোন্ ভাষাবিজ্ঞান?

ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান        খ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

গ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান                ঘ) সমাজভাষাবিজ্ঞান

 

৯। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রধানত ইউরোপে এবং পরবর্তীকালে মার্কিন দেশে সূত্রপাত হয় কোন্ ভাষাবিজ্ঞানের? 

ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান        খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান         ঘ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান

 

১০। কোন্ ভাষাবিজ্ঞানে ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং শব্দার্থতত্ত্ব আলোচিত হয়? 

ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান        খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান

গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান         ঘ) মনোভাষাবিজ্ঞান

 

১১। বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিগুলি কোন শাখায় আলোচিত হয়?

ক) ধ্বনিবিজ্ঞানে  খ) ধ্বনিতত্ত্বে    গ) ধ্বনিপরিবর্তনে        ঘ) রূপতত্ত্বে 

 

১২। কোন ভাষাবিজ্ঞানে মানবমন ও গতিপ্রকৃতির সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক আলোচিত হয়?–

ক) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে      খ) মনোভাষাবিজ্ঞানে      গ) নৃভাষাবিজ্ঞানে         ঘ) শৈলীবিজ্ঞানে

 

১৩। কোন অভিধানে এক ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয়?

ক) ইতিহাসভিত্তিক অভিধান       খ) একভাষিক অভিধান  

গ) দ্বিভাষিক অভিধান             ঘ) বিষয় অভিধান

 

১৪। কার হাত ধরে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়?

ক) স্যার উইলিয়াম জোন্স         খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়      

গ) উইলিয়াম কেরি               ঘ) সুকুমার রায়

 

১৫। বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান কী নিয়ে আলোচনা করে?

ক) ভাষার অতীত নিয়ে                   খ) সমকালীন ভাষার গঠনরীতি নিয়ে

গ) বিভিন্ন ভাষার ঐক্য-অনৈক্য নিয়ে       ঘ) ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে 

 

১৬। ভাষাবিজ্ঞানের দিক থেকে আদর্শ অভিধানে entry বা শব্দের স্তর সংখ্যা কয়টি?

ক) দুটি         খ) তিনটি       গ) চারটি        ঘ) পাঁচটি

 

১৭।  সমাজভাষাবিজ্ঞানে কোড কী?

ক) কোনো ব্যক্তির ভাষা বা উপভাষার ব্যবহারের  বিশেষ রীতি

খ) উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষার বা উপভাষার বদল

গ) ক ও খ উভয়ই            ঘ) কোনোটাই নয়। 

 

২. উত্তরমালাঃ

 

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

প্রশ্ন

উত্তর

1.      

2.      

3.      

4.      

5.      

6.      

7.      

 

8.      

9.      

10.   

11.   

12.   

13.   

14.   

15.   

16.   

17.   

18.   

 

19.   

 

20.   

 

 এই ধরণের MCQ/Mock Test পেতে গ্রুপে Join হতে পারেন- Click Here  Eschool Online Whatsapp Group

Or follow the Youtube Channel Click Here Eschool

Follow the Facebook Page Click Here Eschool

No comments

Powered by Blogger.